ইস্ট বেঙ্গল এ্যাক্টনং-২৮/১৯৫১, স্টেট একুইজিশন টেন্যান্সি এ্যাক্ট ১৯৫০ এর ৮৮ ধারা অনুযায়ী। একজন
রায়ত এই এ্যাক্টের বিধানের শর্ত সাপেক্ষে তার হোল্ডিং বা ইহার অংশ বা খন্ড তার
অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তির ন্যায় হস্তান্তর করতে সক্ষম।
শর্ত হলো যে, ২০ ধারায়(২)
উপধারা মোতাবেক, দখলে রাখা (Retained)চা বসাগনের খাস ভূমি-পূর্বাহ্নের ডেপুটি
কমিশনারের লিখিত মজুরী ব্যাতীত হস্তান্তর করা যাবে না এবং প্রস্তাবিত হস্তান্তরের
কোন মতেই সামগ্রীকভাবে বা–বাগানের অস্তিত্বকে বিনষ্ট(disrupt)করতে পারবে না বা কোন
মতেই যে উদ্দেশ্যে ভূমি দখলে রাখা হয়েছে সেই চা চাষের কোন বিঘ্ন (affect) সৃষ্টি
করতে পারবে না।
উক্ত এ্যাক্টের ৮৯ ধারার
(১)উপধারায় নিম্নলিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত কৃষি ভূমির যে কোন রূপ হস্তান্তর
রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে হতে হবে।
যে সকল ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রির প্রয়োজন নেই:
১। আদালতের ডিক্রির বলে
বিক্রয় হলে
অথবা
২। সরকারী দাবী বা পাবলিক
দাবী আদায়ের জন্য বেঙ্গল পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এ্যাক্ট, ১৯১৩ এর আওতাধীন
দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মোকদ্দমা মূলে ভূমি নিলামে বিক্রি বা ক্রয় করা হলে । এবং
(গ)উইল (Bequest)মূলে।
কৃষি ভূমির মালিক: টেস্ট একুইজিশন এন্ড টেন্যান্মি এ্যাক্টের ৮১ ধারার (১) উপাধারর কোন
এলাকাল এই অংশের সবটুকু বলবৎ হওয়ার তারিখ হতে সেখানে কৃষি ভূমির মাত্র এক শ্রেণীর
স্বত্ব দখলকার যথা “মালিক” খাকবে এবং এরূপ প্রত্যেক মালিকের অধিকার এবং দায় এই
অংশের বিধান মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত হবে। এই অংশ অর্থাৎ উক্ত এ্যক্টের ৫ম অংশের (৭৯
ধারা হতে ১৫২ ধারা পর্যন্ত) সবটাকু বহুপূর্বেই দেশের সর্বত্র জারী হয়ে বলবৎ হয়েছে।
রায়ত, অধীনস্ত রায়ত ইত্যাদি শ্রেণীর দখলকারদের পরিবর্তে এক শ্রেণীর দখলকার যাহা
“মালিক” হিসেবে অভিহিত হয়েছে।
অকৃষি ভূমি : উক্ত এ্যাক্টের ৮১ এ ধারার (১) উপধারা, এই অংশে (৫ম অংশ)অন্য কোন রূপ
ব্যবস্থা থাকা ব্যতীত অকৃষি ভূমির দখলকার যিনি এই এ্যাক্টের বধিামসমূহের আওতায়
এরূপ ভূমির উপরিস্থ স্বত্ব দখল হওয়ার দরুন সম্পর্কের অধীনে প্রজা হয়েছেন তার
অধিকার আদায়(Liabiliaties)যে এরূপ দখলের (একুইজিশনের) সময় ইষ্ট বেঙ্গল সব
এগ্রিকালচারা টেন্যান্সি এ্যাক্ট ১৯৪৯ এরূপ ভূমির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতো ইহা সেই
এ্যাক্ট এর বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত (Regulated)হবে।
No comments:
Post a Comment