মনে
করুন, আপনার একটি জমি পার্শ্ববর্তী এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে
নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জমির দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে ভুয়া দলিলও বানিয়ে
নিয়েছেন। আপনি দেওয়ানি আদালতে মামলা ঠুকে দিলেন। দেওয়ানি মামলা চলতে থাকল
বছরের পর বছর। এরই মধ্যে আপনার অগোচরে দখলদার সেই ব্যক্তি মামলাকৃত জমিটি
তৃতীয় আরেক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিল। এখন মামলা শেষে আদালতের রায় যদি
আপনার পক্ষে আসে, সেক্ষেত্রে আপনি কার কাছে গিয়ে জমির মালিকানা দাবি করবেন?
আপনার প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে জমি চাইলে তিনি বলবেন, এটি তো বিক্রি হয়ে
গেছে। পক্ষান্তরে যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির কাছে দাবি নিয়ে
গেলে তিনি বলবেন, আমি তো এটি টাকা দিয়েই অমুকের কাছ থেকে কিনেছি। এই জটিলতা
নিরসনে আইনের নীতি হলো এই যে, কোনো সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা করা হলে,
মামলা চলাকালে সেই সম্পত্তি আদালতের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করা যাবে না।
কমন ল'-এর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নীতি হচ্ছে, 'মামলা রুজু অবস্থায় নতুন কোনো অবস্থার সৃষ্টি করা উচিত নয়। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় এই নীতিটিকে 'লিস পেন্ডেন্স' নামে বিধিবদ্ধ আইনে রূপায়িত করা হয়েছে। ৫২ ধারার মূল বক্তব্য হচ্ছে, মামলা চলাকালে মামলার অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরিত হলে তার ফলাফল মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে এখতিয়ারবিশিষ্ট কোনো আদালতে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো মামলা বা কার্যক্রম চলাবস্থায় উক্ত মামলা বা কার্যক্রমটি ষড়যন্ত্রমূলক না হলে এবং তাতে সম্পত্তির কোনো স্বত্ব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্নটি উত্থাপিত করা হলে উক্ত মামলার বা কার্যক্রমের কোনো পক্ষই আদালতের অনুমতি ছাড়া উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না, যার ফলে আদালতের সম্ভাব্য কোনো ডিক্রি বা আদেশের দ্বারা লব্ধ কোনো পক্ষের কোনো অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। তবে আদালত অনুমতি দিলে বা আদালত কোনো শর্ত আরোপ করলে সেই শর্ত অনুসারে তা হস্তান্তর করা যাবে।
৫২ ধারার ব্যাখ্যায় আইনে বলা হয়েছে, এ ধারার উদ্দেশ্যে আরজি দাখিল বা কার্যক্রম শুরু হওয়ার তারিখ থেকে আদালতের চূড়ান্ত ডিক্রি জারি হয়ে সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বা তামাদির কাল পার হয়ে যাওয়ার দায় পরিশোধের সময় না হওয়া পর্যন্ত মামলা বা কার্যক্রম চলছে বলে ধরে নিতে হবে।
৩৯ ডিএলআর-এর শ্রী মনোরঞ্জন বণিক ও অন্যান্য বনাম শ্রী নিত্যরঞ্জন কর্মকার এবং অন্যান্য (পৃষ্ঠা-৭৫) মামলায় বলা হয়েছে, 'অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের হওয়ার পর খারিজের দরখাস্তও মামলার কার্যক্রমের অন্তর্গত হবে এবং এক্ষেত্রেও 'লিস পেন্ডেন্স' নীতি প্রযোজ্য হবে।'
কমন ল'-এর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নীতি হচ্ছে, 'মামলা রুজু অবস্থায় নতুন কোনো অবস্থার সৃষ্টি করা উচিত নয়। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় এই নীতিটিকে 'লিস পেন্ডেন্স' নামে বিধিবদ্ধ আইনে রূপায়িত করা হয়েছে। ৫২ ধারার মূল বক্তব্য হচ্ছে, মামলা চলাকালে মামলার অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরিত হলে তার ফলাফল মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে এখতিয়ারবিশিষ্ট কোনো আদালতে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো মামলা বা কার্যক্রম চলাবস্থায় উক্ত মামলা বা কার্যক্রমটি ষড়যন্ত্রমূলক না হলে এবং তাতে সম্পত্তির কোনো স্বত্ব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্নটি উত্থাপিত করা হলে উক্ত মামলার বা কার্যক্রমের কোনো পক্ষই আদালতের অনুমতি ছাড়া উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না, যার ফলে আদালতের সম্ভাব্য কোনো ডিক্রি বা আদেশের দ্বারা লব্ধ কোনো পক্ষের কোনো অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। তবে আদালত অনুমতি দিলে বা আদালত কোনো শর্ত আরোপ করলে সেই শর্ত অনুসারে তা হস্তান্তর করা যাবে।
৫২ ধারার ব্যাখ্যায় আইনে বলা হয়েছে, এ ধারার উদ্দেশ্যে আরজি দাখিল বা কার্যক্রম শুরু হওয়ার তারিখ থেকে আদালতের চূড়ান্ত ডিক্রি জারি হয়ে সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বা তামাদির কাল পার হয়ে যাওয়ার দায় পরিশোধের সময় না হওয়া পর্যন্ত মামলা বা কার্যক্রম চলছে বলে ধরে নিতে হবে।
৩৯ ডিএলআর-এর শ্রী মনোরঞ্জন বণিক ও অন্যান্য বনাম শ্রী নিত্যরঞ্জন কর্মকার এবং অন্যান্য (পৃষ্ঠা-৭৫) মামলায় বলা হয়েছে, 'অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের হওয়ার পর খারিজের দরখাস্তও মামলার কার্যক্রমের অন্তর্গত হবে এবং এক্ষেত্রেও 'লিস পেন্ডেন্স' নীতি প্রযোজ্য হবে।'
No comments:
Post a Comment