তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আইনগত বৈধতা ও নিরাপত্তা প্রদান এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
|
|
|
যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির আইনগত বৈধতা ও নিরাপত্তা প্রদান এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি
সম্পর্র্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
|
|
|
|
|
প্রথম অধ্যায় প্রারম্ভিক |
|
|
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন |
|
১৷ (১) এই আইন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷
(২) সমগ্র বাংলাদেশে ইহার প্রয়োগ হইবে৷
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সংজ্ঞা |
|
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) �ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর� অর্থ ইলেক্ট্রনিক আকারে কোন উপাত্ত, যাহা-
(ক) অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক উপাত্তের সহিত সরাসরি বা যৌক্তিক-ভাবে সংযুক্ত; এবং
(খ) কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের প্রমাণীকরণ নিম্নবর্ণিত শর্তাদি পূরণক্রমে সম্পন্ন হয়-
(অ) যাহা স্বাক্ষরদাতার সহিত অনন্যরূপে সংযুক্ত হয়;
(আ) যাহা স্বাক্ষরদাতাকে সনাক্তকরণে সক্ষম হয়;
(ই) স্বাক্ষরদাতার নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে এমন নিরাপদ পন্থায় যাহার সৃষ্টি হয়; এবং
(ঈ) সংযুক্ত উপাত্তের সহিত উহা এমনভাবে সম্পর্কিত যে, পরবর্তীতে উক্ত উপাত্তে কোন পরিবর্তন সনাক্তকরণে সক্ষম হয়;
(২) �ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট� অর্থ ধারা ৩৬ এর অধীন ইস্যুকৃত কোন সার্টিফিকেট;
(৩)
�ইলেকট্রনিক� অর্থ ইলেকট্রিক্যাল, ডিজিটাল, ম্যাগনেটিক, অয়্যারলেস,
অপটিক্যাল, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বা তুলনীয় সক্ষমতা রহিয়াছে এইরূপ কোন
প্রযুক্তি;
(৪) �ইলেক্ট্রনিক উপাত্ত বিনিময় (electronic data
inter-change)� অর্থ তথ্য সংগঠিত করিবার উদ্দেশ্যে একটি স্বীকৃত মানদণ্ড
অনুসরণক্রমে কোন উপাত্ত এক কম্পিউটার হইতে অন্য কম্পিউটারে ইলেক্ট্রনিক
উপায়ে স্থানান্তর;
(৫) �ইলেক্ট্রনিক বিন্যাস (electronic form)�
অর্থ কোন তথ্যের ক্ষেত্রে, কোন মিডিয়া, ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল, কম্পিউটার
স্মৃতি (memory), মাইক্রোফিল্ম, কম্পিউটারের প্রস্তুতকৃত মাইক্রোফিচ বা
অনুরূপ অন্য কোন যন্ত্র বা কৌশলের মাধ্যমে কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রস্তুত,
গ্রহণ বা প্রেরণ;
(৬) �ইলেক্ট্রনিক গেজেট� অর্থ সরকার কর্তৃক
মুদ্রিত ও প্রকাশিত সরকারী গেজেটের অতিরিক্ত হিসাবে ইলেক্ট্রনিক আকারে
প্রকাশিত সরকারী গেজেট;
(৭) �ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড� অর্থ কোন উপাত্ত,
রেকর্ড বা উপাত্ত হইতে প্রস্তুতকৃত ছবি বা প্রতিচ্ছবি বা শব্দ, যাহা কোন
ইলেক্ট্রনিক বিন্যাস, মাইক্রোফিল্ম বা কম্পিউটারে প্রস্তুতকৃত মাইক্রোফিচে
সংরক্ষিত, গৃহীত বা প্রেরিত হইয়াছে;
(৮) �ইন্টারনেট� অর্থ এমন একটি
আন্তর্জাতিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যাহার মাধ্যমে কম্পিউটার, সেলুলার ফোন বা
অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারকারীগণ বিশ্বব্যাপী একে অন্যের সহিত
যোগাযোগ এবং তথ্যের আদান-প্রদান এবং ওয়েব সাইটে উপস্থাপিত তথ্যাবলী অবলোকন
করিতে সক্ষম হয়;
(৯) �ইলেক্ট্রনিক মেইল� অর্থ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে
প্রস্তুতকৃত এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরিত বা প্রাপ্ত কোন মেইল এবং
তত্সংশ্লিষ্ট কোন দলিলাদি;
(১০) �উপাত্ত� অর্থ কোন আনুষ্ঠানিক
পদ্ধতিতে প্রস্তুত তথ্য, জ্ঞান, ঘটনা, ধারণা বা নির্দেশাবলী যাহা
কম্পিউটার প্রিন্ট আউট, ম্যাগনেটিক বা অপটিক্যাল স্টোরেজ মিডিয়া,
পাঞ্চকার্ড, পাঞ্চ টেপসহ যে কোন আকারে বা বিন্যাসে কম্পিউটার সিস্টেম অথবা
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রক্রিয়াজাত করা হইয়াছে, হইতেছে অথবা হইবে অথবা যাহা
অভ্যন্তরীণভাবে কোন কম্পিউটার স্মৃতিতে সংরক্ষিত;
(১১)
�উপাত্ত-বার্তা (data message)� অর্থ ইলেকট্রনিক, অপটিক্যাল-সহ কোন
ইলেক্ট্রনিক উপাত্ত বিনিময়, ইলেক্ট্রনিক মেইল, টেলিগ্রাম, টেলেক্স,
ফ্যাক্স, টেলিকপি, সর্ট মেসিজ (SMS) বা অনুরূপ কোন পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত,
প্রেরিত, গৃহীত বা সংরক্ষিত তথ্য;
(১২) �ওয়েবসাইট� অর্থ কম্পিউটার
এবং ওয়েব সার্ভারে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট এবং তথ্যসমূহ যাহা ব্যবহারকারী
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্রাউজ বা অবলোকন করিতে পারে;
(১৩)
�কম্পিউটার� অর্থ যে কোন ইলেকট্রনিক, ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা দ্রুতগতির
তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র বা সিস্টেম, যাহা ইলেকট্রনিক, ম্যাগনেটিক বা
অপটিক্যাল ইমপালস ব্যবহার করিয়া যৌক্তিক, গাণিতিক এবং স্মৃতি কার্যক্রম
সম্পন্ন করে, এবং কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সহিত
সংযুক্ত এবং যাহাতে সকল ইনপুট, আউটপুট, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চিতি (storage),
কম্পিউটার সফটওয়ার বা যোগাযোগ সুবিধাদিও ইহার অন্তর্ভুক্ত থাকে;
(১৪)
�কম্পিউটার নেটওয়ার্ক� অর্থ এমন এক ধরনের আন্তঃসংযোগ যাহা স্যাটেলাইট,
মাইক্রোওয়েভ, টেরিস্ট্রিয়েল লাইন, অয়্যারলেস যন্ত্র, ওয়াইড এরিয়া
নেটওয়ার্ক, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, ইনফ্রারেড, ওয়াই ফাই, ব্লুটূথ বা অন্য
কোন যোগাযোগের মাধ্যম বা কোন প্রান্ত্রিক (terminal) যন্ত্রপাতি বা দুই বা
ততোধিক কম্পিউটারের আন্তঃসংযোগ রহিয়াছে এমন কোন কমপ্লেক্স, যাহাতে
আন্তঃসংযোগ নিরবচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষণ করা হউক বা না হউক, এর মাধ্যমে দুই বা
ততোধিক কম্পিউটার বা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে;
(১৫) �গ্রাহক� অর্থ যাহার নামে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়;
(১৬) �চেয়ারম্যান� অর্থ ধারা ৮২ এর অধীন নিযুক্ত সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান;
(১৭) �দেওয়ানী কার্যবিধি� অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908);
(১৮) �দণ্ডবিধি� অর্থ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860);
(১৯) �নির্ধারিত� অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(২০) �নিরাপদ স্বাক্ষর সৃষ্টিকারী যন্ত্র বা কৌশল� অর্থ ধারা ১৭-তে বিধৃত শর্তাধীন কোন স্বাক্ষর সৃষ্টিকারী যন্ত্র বা কৌশল;
(২১)
�নিয়ন্ত্রক� বা �উপ-নিয়ন্ত্রক� বা �সহকারী নিয়ন্ত্রক� অর্থ ধারা ১৮(১) এর
অধীন নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক বা সহকারী নিয়ন্ত্রক;
(২২)
�প্রাপক (addressee)� অর্থ উপাত্ত-বার্তার ক্ষেত্রে, প্রেরকের ইচ্ছানুসারে
উপাত্ত-বার্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কিন্তু উপাত্ত-বার্তা যোগাযোগের মাধ্যম
হিসাবে কর্মরত কোন ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(২৩) �প্রমাণীকরণ� অর্থ স্বাক্ষরদাতা সনাক্তকরণে বা উপাত্ত-বার্তার শুদ্ধতা নিরূপণে ব্যবহৃত হয় এমন কোন প্রক্রিয়া;
(২৪)
�প্রেরক (orginator)� অর্থ কোন উপাত্ত-বার্তার ক্ষেত্রে, কোন
উপাত্ত-বার্তা যিনি প্রেরণ করেন বা সংরক্ষণের পূর্বে প্রস্তুতকারী ব্যক্তি,
কিন্তু উপাত্ত-বার্তার যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি
ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(২৫) �প্রবিধান� অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(২৬) �ফৌজদারী কার্যবিধি� অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);
(২৭)
�ব্যক্তি� শব্দের আওতায় কোন প্রাকৃতিক স্বত্তাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি,
অংশীদারী কারবার, সমিতি, কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, সমবায় সমিতি
অন্তর্ভুক্ত;
(২৮) �বিচারক� অর্থ ধারা ৬৮ এর অধীন গঠিত সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক;
(২৯) � বিবিধ� অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৩০)
�মাধ্যম� অর্থ কোন সুনির্দিষ্ট উপাত্ত-বার্তার ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তি যিনি
অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে কোন উপাত্ত-বার্তা প্রেরণ, গ্রহণ, অগ্রায়ন বা
সংরক্ষণ করেন বা উক্ত বার্তার বিষয়ে অন্য কোন সেবা প্রদান করেন;
(৩১) �লাইসেন্স� অর্থ ধারা ২২ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;
(৩২)
�সত্যায়ন সেবা প্রদানকারী� অর্থ সার্টিফিকেট ইস্যুকারী বা ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষরের সহিত সম্পর্কিত অন্য কোন সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি;
(৩৩)
�সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ� অর্থ ধারা ১৮ এর সহিত পঠিতব্য ধারা ২২
এর অধীন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার জন্য
লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ;
(৩৪) �সত্যায়নের রীতি ও
পদ্ধতির বিবরণ� অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত সত্যায়নের রীতি ও পদ্ধতির
বিবরণ, যাহাতে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার রীতি ও
পদ্ধতির বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে;
(৩৫) �সদস্য� অর্থ ধারা ৮২ এর অধীন গঠিত সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালের সদস্য;
(৩৬) �স্বাক্ষরদাতা� অর্থ স্বাক্ষর প্রস্তুতকারী যন্ত্র বা কৌশলের মাধ্যমে স্বাক্ষর প্রদানকারী ব্যক্তি;
(৩৭) �স্বাক্ষর প্রতিপাদন যন্ত্র� অর্থ স্বাক্ষর যাচাইকরণে ব্যবহৃত সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার;
(৩৮) �স্বাক্ষর সৃষ্টিকারী যন্ত্র� অর্থ স্বাক্ষর সৃষ্টির উপাত্ত প্রস্তুতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার;
(৩৯) �সাইবার ট্রাইব্যুনাল� বা �ট্রাইব্যুনাল� অর্থ ধারা ৬৮ এর অধীন গঠিত কোন সাইবার ট্রাইব্যুনাল;
(৪০) �সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল� অর্থ ধারা ৮২ এর অধীন গঠিত কোন সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আইনের প্রাধান্য |
|
৩৷ আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আইনের অতিরাষ্ট্রিক প্রয়োগ |
|
৪৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহিরে এই
আইনের অধীন কোন অপরাধ করেন যাহা বাংলাদেশে করিলে এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য
হইত, তাহা হইলে এই আইন এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন অপরাধটি তিনি বাংলাদেশেই
করিয়াছেন৷
(২) যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের বাহির হইতে বাংলাদেশে
অবস্থিত কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের
সাহায্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করেন, তাহা হইলে
উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধানাবলী এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত
অপরাধের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সংঘটিত হইয়াছিল৷
(৩) যদি
কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তর হইতে বাংলাদেশের বাহিরে এই আইনের অধীন কোন
অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধানাবলী এইরূপে
প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত অপরাধের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সংঘটিত
হইয়াছিল৷
|
|
|
|
|
|
|
|
দ্বিতীয় অধ্যায় ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর ও ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড |
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর দ্বারা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড সত্যায়ন |
|
৫৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন
গ্রাহক তাহার ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংযুক্ত করিয়া কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড
সত্যায়ন করিতে পারিবেন৷
(২) প্রযুক্তি নিরপেক্ষ পদ্ধতি বা স্বীকৃত
স্বাক্ষর সৃষ্টিকারী যন্ত্র বা কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের
সত্যায়ন কার্যকর করিতে হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের আইনানুগ স্বীকৃতি |
|
৬৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে কোন তথ্য বা
অন্য কোন বিষয় হস্তাক্ষর, মুদ্রাক্ষর বা অন্য কোনভাবে লিখিত বা মুদ্রিত
আকারে লিপিবদ্ধ করিবার শর্ত থাকিলে, উক্ত আইনে অনুরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও
উক্ত তথ্য বা বিষয় ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে লিপিবদ্ধ করা যাইেবঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত তথ্য বা বিষয়ে অভিগম্যতা থাকিতে হইবে, যাহাতে উহা বরাত হিসাবে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যায়৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের আইনানুগ স্বীকৃতি |
|
৭৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যদি এই মর্মে কোন বিধান বা শর্ত থাকে যে,-
(ক) কোন তথ্য বা অন্য কোন বিষয় স্বাক্ষর সংযুক্ত (affix) করিয়া সত্যায়ন করিতে হইবে; বা
(খ) কোন দলিল কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষর করিয়া সত্যায়ন করিতে হইবে;
তাহা হইলে, উক্ত আইনে অনুরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, নির্ধারিত পদ্ধতিতে
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংযুক্ত করিয়া উক্ত তথ্য বা বিষয় বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত
দলিল সত্যায়ন করা যাইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সরকারী অফিস, ইত্যাদিতে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড এবং ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের ব্যবহার |
|
৮৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যদি এই মর্মে কোন বিধান বা শর্ত থাকে যে,-
(ক)
কোন সরকারী অফিস, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা সরকারের মালিকানা বা
নিয়ন্ত্রণাধীন কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার কোন ফরম, আবেদন বা অন্য কোন দলিল
কোন বিশেষ পদ্ধতিতে দাখিল করিতে হইবে;
(খ) কোন লাইসেন্স, পারমিট, মঞ্জুরী, অনুমোদন বা আদেশ, যেই নামেই অভিহিত হউক না কেন, কোন বিশেষ পদ্ধতিতে ইস্যু বা মঞ্জুর করিতে হইবে;
(গ) অর্থ লেনদেন কোন বিশেষ পদ্ধতিতে করিতে হইবে;
তাহা
হইলে, উক্ত আইনে অনুরূপ বিধান থাকা সত্তেও, উক্তরূপ দলিল, ইস্যু, মঞ্জুরী
বা, ক্ষেত্রমত, অর্থ লেনদেন নির্ধারিত ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করা
যাইবে৷
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড দাখিল,
প্রস্তুত বা ইস্যুকরণের রীতি ও পদ্ধতিসহ উহা দাখিল, প্রস্তুত বা ইস্যুর
জন্য প্রদেয় ফিস বা চার্জ প্রদান পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড সংরক্ষণ |
|
৯৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে কোন দলিল,
রেকর্ড বা তথ্য কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত সংরক্ষণ করিবার কোন বিধান বা
শর্ত থাকিলে, উক্ত দলিল, রেকর্ড বা তথ্য, নিম্নবর্ণিত শর্তাদি পূরণ
সাপেক্ষে, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতেও সংরক্ষণ করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) প্রয়োজন অনুযায়ী উক্ত সংরক্ষিত তথ্যে অভিগম্যতা থাকিতে হইবে যাহাতে উহা বরাত হিসাবে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যায়;
(খ)
যেই রীতি ও পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রথম সৃজিত, প্রেরিত বা গৃহীত
হইয়াছে বা এমন রীতি ও পদ্ধতি যাহা নির্ভুলভাবে উক্ত তথ্য যেইভাবে সৃজিত,
প্রেরিত বা গৃহীত হইয়াছিল তাহা প্রদর্শন করে সেই রীতি ও পদ্ধতিতেই উহা
সংরক্ষণ করিতে হইবে;
(গ) ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের উত্স ও গন্তব্য
নির্ধারণ করা যায় এমন তথ্য, যদি থাকে, উহার প্রেরণ বা গ্রহণের তারিখ ও সময়
সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখিতে হইেবঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কেবল
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরণ বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উদ্ভাবিত
কোন তথ্যের ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
(২)
উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত শর্তাদি প্রতিপালন সাপেক্ষে, কোন ব্যক্তি অন্য কোন
ব্যক্তির সাহায্য গ্রহণ করিয়া উক্ত উপ-ধারার অধীন কার্যসম্পাদন করিতে
পারিবেন৷
(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বিধৃত পদ্ধতিতে কোন দলিল,
রেকর্ড বা তথ্য সংরক্ষণ করিবার সুস্পষ্ট বিধান থাকিলে, উক্ত বিধানের
ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক গেজেট |
|
১০৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যদি এই মর্মে
কোন বিধান বা শর্ত থাকে যে, কোন আইন বা অন্য কোন আইনগত দলিলের অধীন প্রণীত
কোন বিধি, প্রবিধান, আদেশ, উপ-আইন, প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোন বিষয় সরকারী
গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে, তাহা হইলে উক্ত আইন, বিধি, প্রবিধান, আদেশ,
উপ-আইন, প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোন বিষয় সরকারী গেজেট এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে
ইলেক্ট্রনিক গেজেটেও প্রকাশ করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আইন,
বিধি, প্রবিধান, আদেশ, উপ-আইন, প্রজ্ঞাপন বা অন্য কোন বিষয় সরকারী গেজেটে
অথবা ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রকাশিত হইলে, উহা যেইরূপেই প্রকাশিত হউক না কেন,
উহার প্রথম প্রকাশিত হইবার তারিখ উক্ত গেজেট প্রকাশের তারিখ হিসাবে গণ্য
হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে দলিল গ্রহণে বাধ্যবাধকতা না থাকা |
|
১১৷ এই আইনের কোন কিছুই সরকারের কোন মন্ত্রণালয়,
অধিদপ্তর বা কোন আইনের অধীন সৃষ্ট কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা
সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বা সরকারী অর্থে প্রতিষ্ঠিত কোন কর্তৃপক্ষ বা
সংস্থাকে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কোন দলিল গ্রহণ, ইস্যু, প্রস্তুত, সংরক্ষণ
বা ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে যে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করিতে বাধ্য করিবে
না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর বিষয়ে বিধি প্রণয়ন |
|
১২৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী
গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,
নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের ধরণ;
(খ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংযুক্ত করিবার রীতি ও পদ্ধতি;
(গ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংযুক্তকারী ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তকরণের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া;
(ঘ)
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে রেকর্ড সংরক্ষণ এবং আর্থিক লেনদেন বিষয়ে পর্যাপ্ত
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে উহার নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও
কার্যপ্রণালী;
(ঙ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরকে আইনানুগভাবে কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়৷
|
|
|
|
|
|
|
|
তৃতীয় অধ্যায় ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের স্বীকৃতি, প্রাপ্তি স্বীকার ও প্রেরণ |
|
|
স্বীকৃতি |
|
১৩৷ (১) কোন প্রেরক স্বয়ং কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরণ করিয়া থাকিলে উক্ত রেকর্ডটি প্রেরকের হইবে৷
(২) প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরকের বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উহা-
(ক) প্রেরকের পক্ষে উক্ত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড বিষয়ে কাজ করিবার জন্য কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রেরণ করা হয়; বা
(খ) প্রেরক বা প্রেরকের পক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনার জন্য প্রোগ্রামকৃত কোন তথ্য প্রেরণ কৌশলের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়৷
(৩) প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে, কোন প্রাপক কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডকে উহা
প্রেরণকারী কর্তৃক প্রেরণ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্যক্রমে তদনুযায়ী ব্যবস্থা
গ্রহণ করিতে পারিবেন, যদি-
(ক) ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রেরকের কি না
উহা নিশ্চিত হইবার জন্য প্রাপক, তদবিষয়ে প্রেরক কর্তৃক উক্ত উদ্দেশ্যে
পূর্বে স্থিরীকৃত পদ্ধতিতে যথাযথ ব্যবস্থা বা অন্য কোন কার্যক্রম গ্রহণ
করিয়া থাকেন; বা
(খ) প্রাপক কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য এমন কোন ব্যক্তির
গৃহীত ব্যবস্থা হইতে উদ্ভূত হইয়া থাকে যাহা প্রেরক বা প্রেরকের কোন
এজেন্টের সহিত উক্ত ব্যক্তির সম্পর্কের ভিত্তিতে তাহাকে প্রেরক কর্তৃক
ব্যবহৃত পদ্ধতিতে অভিগম্যের এইরূপ সুযোগ প্রদান করা হইয়াছিল যে, সংশ্লিষ্ট
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি যে তাহার উহা সনাক্ত করা যায়৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না-
(ক)
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রেরকের নহে মর্মে প্রেরক কর্তৃক প্রদত্ত নোটিশ
প্রাপক কর্তৃক প্রাপ্তির এবং তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যুক্তিসঙ্গত
সময় অতিবাহিত হইবার পরবর্তী সময় হইতে;
(খ) উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) এ
উল্লিখিত ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন বা পূর্বে স্থিরীকৃত
পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া যে সময় হইতে প্রাপক অবগত হইয়াছেন বা তাহার অবগত হওয়া
উচিত ছিল যে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রেরকের নহে;
(গ) যদি,
পারিপার্শ্বিক সকল পরিস্থিতি বিবেচনা, প্রেরিত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি
প্রেরকের বলিয়া মনে করা এবং উহার ভিত্তিতে কোন কার্য-সম্পাদন প্রাপকের জন্য
একেবারেই অযৌক্তিক হইয়া থাকে৷
(৫) যদি কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড
প্রেরকের হইয়া থাকে বা প্রেরকের বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে বা প্রাপক উক্তরূপ
ধারণার ভিত্তিতে কোন কার্য-সম্পাদন করিতে অধিকারী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে,
প্রেরক এবং প্রাপকের ক্ষেত্রে, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি যেভাবে প্রেরণ করা
প্রেরকের উদ্দেশ্য ছিল সেইভাবেই উহা প্রাপক কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য
হইবে এবং তদনুসারে প্রাপক কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
(৬)
উপ-ধারা (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি যুক্তিসংগত সতর্কতা অবলম্বন
করিয়া ও স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া প্রাপক যদি এই মর্মে অবগত হন বা
অনুরূপ অবগত হওয়া সমীচীন হয় যে, প্রাপ্ত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডে কোন
সম্প্রচারজনিত ত্রুটি রহিয়াছে, তাহা হইলে উহা যেভাবে প্রেরণ করা প্রেরকের
উদ্দেশ্য ছিল সেইভাবেই প্রাপক কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা যাইবে
না৷
(৭) প্রাপক প্রাপ্ত প্রত্যেক ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডকে একটি
স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড হিসাবে বিবেচনাক্রমে উহার ভিত্তিতে
কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবেন, তবে উহা নিম্নবর্ণিত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথাঃ-
(ক) প্রাপক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অন্য ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রতিলিপি; এবং
(খ)
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি যে একটি প্রতিলিপি এই সম্পর্কে প্রাপক পূর্ব হইতেই
জ্ঞাত ছিলেন বা যুক্তিসংগত সতর্কতা অবলম্বন বা স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার
করিয়া তাহার জানা উচিত ছিল যে, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি একটি প্রতিলিপি৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রাপ্তি স্বীকার |
|
১৪৷ (১) যেইক্ষেত্রে কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড
প্রেরণের সময় বা উহা প্রেরণের পূর্বে বা উক্ত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের মাধ্যমে
প্রেরক কর্তৃক প্রাপককে অনুরোধ জ্ঞাপন করা হইয়াছে বা প্রাপকের সহিত ঐকমত্য
প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে যে, প্রাপক কর্তৃক ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রাপ্তির বিষয়ে
প্রাপ্তি স্বীকার করিতে হইবে, সেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এর
বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে৷
(২) প্রেরক ও প্রাপক কোন বিশেষ ছকে বা
পদ্ধতিতে প্রাপ্তি স্বীকার করা হইবে মর্মে পূর্বে সম্মত না হইলে,
নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে প্রাপ্তি স্বীকার করা যাইবে-
(ক) প্রাপক কর্তৃক স্বয়ংক্রিয় বা অন্য কোনভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে; বা
(খ) প্রাপকের এমন কোন কর্মকান্ড যাহা দ্বারা প্রেরকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রাপক পাইয়াছেন৷
(৩) কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রাপ্তি বিষয়ে প্রেরক কর্তৃক প্রাপ্তি
স্বীকারের শর্ত আরোপ করা হইলে, উক্ত শর্তানুযায়ী প্রাপক কর্তৃক প্রাপ্তি
স্বীকার না করা পর্যন্ত প্রেরক কর্তৃক উক্ত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডে কখনো
প্রেরিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না৷
(৪) প্রেরক কর্তৃক কোন
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রাপ্তি বিষয়ে প্রাপ্তি স্বীকারের কোন শর্ত আরোপ না
করা হইলে এবং প্রেরক কর্তৃক নির্দিষ্ট বা স্থিরীকৃত সময়ের মধ্যে প্রেরক
প্রাপ্তি স্বীকার প্রাপ্ত না হইলে, বা অনুরূপ কোন সময় নির্দিষ্ট বা
স্থিরীকৃত না থাকিলে, প্রেরক যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে,-
(ক) প্রাপ্তি
স্বীকার করেন নাই মর্মে প্রাপককে নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং উক্ত
নোটিশে প্রাপ্তি স্বীকার করিবার যুক্তিসংগত সময় সীমার উল্লেখ থাকিবে; এবং
(খ)
দফা (ক) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্তি স্বীকার করা না হইলে, প্রেরক,
প্রাপককে নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে, উক্ত ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি কখনও প্রেরণ
করা হয় নাই বলিয়া গণ্য করিতে পারিবেন৷
(৫) যেক্ষেত্রে প্রেরক
প্রাপকের নিকট হইতে প্রাপ্তি স্বীকার প্রাপ্ত হন, সেইক্ষেত্রে ইহা অনুমান
করিতে হইবে যে, সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রাপক প্রাপ্ত হইয়াছেন,
তবে উহার দ্বারা এইরূপ অনুমান করা যাইবে না যে, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের
বিষয়বস্তু প্রাপ্ত রেকর্ডের অনুরূপ৷
(৬) যেক্ষেত্রে কোন প্রাপ্তি
স্বীকারে উল্লেখ থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডে সম্মত অথবা
প্রযোজ্য মানদন্ডের প্রযুক্তিগত আবশ্যকতা পূরণ করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে ইহা
অনুমান করিতে হইবে যে, উক্ত আবশ্যকতা পূরণক্রমেই উহা প্রেরণ করা হইয়াছিল৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরণ ও গ্রহণের সময় এবং স্থান |
|
১৫৷ (১) প্রেরক এবং প্রাপক ভিন্নভাবে সম্মত না হইলে,-
(ক)
কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কম্পিউটার বা
ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশলে প্রবেশ করিবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত রেকর্ড
প্রেরণের সময় গণনা করা হইবে;
(খ) কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রাপ্তির সময় নিম্নবর্ণিতরূপে নির্ধারিত হইবে, যথাঃ-
(অ)
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড গ্রহণ করিবার উদ্দেশ্যে প্রাপক কর্তৃক কোন ইলেক্ট্রনিক
যন্ত্র বা কৌশল নির্ধারণ বা রেকর্ডটি উন্মুক্ত করিবার ক্ষেত্রে,-
(১) ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি যে সময়ে উক্ত নির্ধারিত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশলে প্রবেশ করে; বা
(২)
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রাপক কর্তৃক নির্ধারিত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশল
ব্যতীত অন্য কোন অনির্ধারিত যন্ত্র বা কৌশল বা কম্পিউটার উত্সে প্রেরণ করা
হইলে, প্রাপক কর্তৃক যে সময় উক্ত রেকর্ড উন্মুক্ত করা হয়; (আ) যদি
প্রাপক সুনির্দিষ্ট সময়সূচীসহ, যদি থাকে, কোন ইলেক্ট্রনিক কৌশল নির্ধারণ না
করিয়া থাকেন, তাহা হইলে ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডটি প্রাপকের কম্পিউটার উৎসে
প্রবেশ করিবার সময় ৷
(গ) কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড প্রেরক কর্তৃক
প্রেরণের ক্ষেত্রে, উহা তাহার ব্যবসায়ের স্থান হইতে প্রেরণ করা হইয়াছে
বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত রেকর্ড প্রাপক কর্তৃক গৃহীত হইবার ক্ষেত্রে উহা
তাহার ব্যবসায়ের স্থানে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
(২)
ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশল বা কম্পিউটার উৎসের স্থান উপ-ধারা (১)(গ) এর
অধীন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড গৃহীত বলিয়া গণ্য হইবার স্থান হইতে ভিন্ন হওয়া
সত্ত্বেও উপ-ধারা (১)(খ) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে৷
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-
(ক)
প্রেরকের বা প্রাপকের ব্যবসায়ের স্থান একাধিক হইবার ক্ষেত্রে, তাহাদের
প্রধান ব্যবসায়ের স্থানটি ব্যবসায়ের স্থান হিসাবে গণ্য হইবে;
(খ)
প্রেরক বা প্রাপকের কোন ব্যবসায়ের স্থান না থাকিবার ক্ষেত্রে, তাহাদের
সচরাচর বসবাসের স্থানই তাহাদের ব্যবসায়ের স্থান হিসাবে গণ্য হইবে৷
ব্যাখ্যাঃ
কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা নিগমিত সংস্থার ক্ষেত্রে, �প্রধান ব্যবসায়ের
স্থান�, বা �সচরাচর বসবাসের স্থান� অর্থে উহার নিবন্ধীকরণের ঠিকানাকে
বুঝাইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
চতুর্থ অধ্যায় নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর |
|
|
নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড |
|
১৬৷ যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন ইলেক্ট্রনিক
রেকর্ডের জন্য কোন নিরাপত্তা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত রেকর্ডটি
উক্ত সময় হইতে যাচাই করার সময় পর্যন্ত নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড বলিয়া
গণ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর |
|
১৭৷ (১) সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের সম্মতিতে কোন
নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমে যদি যাচাই করা যায় যে, ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর সংযুক্ত করিবার সময়-
(ক) উহা সংযুক্তকারীর একান্তই নিজস্ব ছিল;
(খ) সংযুক্তকারীকে সনাক্ত করিবার সুযোগ ছিল; এবং
(গ) উহা তৈরির পদ্ধতি বা ব্যবহারের উপর সংযুক্তকারীর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল;
তাহা হইলে, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর একটি নিরাপদ ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর হিসাবে গণ্য হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরটি অকার্যকর
বলিয়া গণ্য হইবে যদি ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের সহিত সম্পর্কযুক্ত ইলেক্ট্রনিক
রেকর্ডটির কোনরূপ পরিবর্তন সাধন করা হয়৷
|
|
|
|
|
|
|
|
পঞ্চম অধ্যায় নিয়ন্ত্রক ও সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ |
|
|
১[
নিয়ন্ত্রক ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ইত্যাদি] |
|
১৮।
২[
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত,
সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, একজন নিয়ন্ত্রক এবং প্রয়োজনীয়
সংখ্যক উপ-নিয়ন্ত্রক ও সহকারী নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ প্রজ্ঞাপন জারীর তারিখ হইতে এক বৎসরের অধিক হইবে না।]
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নিয়ন্ত্রকের কার্যাবলী |
|
১৯৷ নিয়ন্ত্রক নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন কার্য-সম্পাদন করিবেন, যথাঃ-
(ক) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর তত্ত্বাবধান;
(খ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুসরণীয় মানদন্ড নির্ধারণ;
(গ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কর্মচারীগণের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ;
(ঘ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কার্য পরিচালনার শর্তাবলী নির্ধারণ;
(ঙ)
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর প্রত্যয়নের বিষয়ে ব্যবহৃত হইতে পারে এইরূপ লিখিত,
ছাপানো অথবা দৃশ্যমান কোন বিষয়বস্তু বা বিজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি
নির্ধারণ;
(চ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ফরম ও উহাতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি নির্ধারণ;
(ছ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের হিসাব সংরক্ষণের ছক ও পদ্ধতি নির্ধারণ;
(জ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে নিরীক্ষক নিয়োগের শর্তাবলী এবং তাহাদের সম্মানী নির্ধারণ;
(ঝ)
কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এককভাবে বা অন্য কোন সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সহিত যৌথভাবে ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম স্থাপনের সুবিধা
প্রদান এবং উক্ত সিস্টেম পরিচালনার নীতি নির্ধারণ;
(ঞ) কার্য পরিচালনা বিষয়ে গ্রাহক ও সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের আচরণ বিধি নির্ধারণ;
(ট) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকের মধ্যকার স্বার্থের বিরোধ নিষ্পত্তি;
(ঠ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য ও দায়িত্ব নির্ধারণ;
(ড) কম্পিউটারজাত উপাত্ত-ভান্ডার সংরক্ষণ, যাহাতে-
(অ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত তথ্যাবলীসহ প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত থাকিবে; এবং
(আ) জনগণের প্রবেশাধিকারের নিশ্চয়তা থাকিবে;
(ঢ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন অন্য কোন কার্য-সম্পাদন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিদেশী সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি |
|
২০৷ (১) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত শর্ত
সাপেক্ষে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে ও তদতিরিক্ত
ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়ন্ত্রক
বিদেশী কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে এই আইনের অধীন একটি
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন বিদেশী কর্তৃপক্ষকে সার্টিফিকেট প্রদানকারী
কর্তৃপক্ষ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হইলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
ইস্যুকৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে
বৈধ হইবে৷
(৩) নিয়ন্ত্রক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত যে শর্তের
অধীন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হইয়াছে উহার কোন শর্ত লঙ্ঘন করিয়াছে, তাহা হইলে তিনি,
লিখিতভাবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে
ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত
স্বীকৃতি বাতিল করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নিয়ন্ত্রকের সংরক্ষণাধার (repository) হিসাবে দায়িত্ব পালন |
|
২১৷ (১) নিয়ন্ত্রক এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত সকল ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটের সংরক্ষণাধার হইবেন৷
(২) নিয়ন্ত্রক সকল ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত
করিবেন, এবং তজ্জন্য তিনি এমন হার্ডওয়ার, সফটওয়ার এবং অন্য কোন নিরাপদ
পদ্ধতি ব্যবহার করিবেন যাহাতে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের অপব্যবহার ও উহাতে
অবাঞ্ছিত প্রবেশ রোধ করা যায় এবং একটি নির্ধারিত মানদন্ড অনুসরণ করিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্য লাইসেন্স |
|
২২৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, যে কোন
ব্যক্তি ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার লাইসেন্স প্রাপ্তির
জন্য নিয়ন্ত্রকের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর
অধীন কোন লাইসেন্স ইস্যু করা যাইবে না, যদি আবেদনকারীর নির্ধারিত যোগ্যতা,
দক্ষতা, জনবল, আর্থিক সঙ্গতি এবং ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু
করিবার জন্য নির্ধারিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধাদি না থাকে৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স-
(ক) নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত বৈধ থাকিবে;
(খ) নির্ধারিত শর্তাদি প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রদান করিতে হইবে; এবং
(গ) উত্তরাধিকারের মাধ্যমে অর্জন বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তরযোগ্য হইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্সের জন্য আবেদন |
|
২৩৷ (১) লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করিতে হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিটি আবেদনের সহিত নিম্নবর্ণিত দলিল ও কাগজাদি সংযোজন করিতে হইবে-
(ক) প্রত্যয়নপত্র প্রদান বিষয়ে অনুসরণীয় রীতি ও পদ্ধতির বিবরণ (Certification practice statement);
(খ) আবেদনকারীর পরিচয় নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র;
(গ) নির্ধারিত ফিস জমাকরণের প্রমাণপত্র;
(ঘ) নির্ধারিত অন্যান্য তথ্য, দলিল ও কাগজপত্র৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স নবায়ন |
|
২৪৷ এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স নির্ধারিত
পদ্ধতিতে ফিস প্রদান সাপেক্ষে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য
নবায়নযোগ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স মঞ্জুর বা অগ্রাহ্য করিবার প্রক্রিয়া |
|
২৫৷ ধারা ২২(১) এর অধীন আবেদনপ্রাপ্তির পর
নিয়ন্ত্রক উক্ত আবেদনের সহিত সংযুক্ত তথ্য, দলিলাদি ও কাগজপত্র এবং
তদকর্তৃক যথাযথ বলিয়া বিবেচিত অন্য যে কোন বিষয় বিবেচনাক্রমে লাইসেন্স
মঞ্জুর বা কোন আবেদন বাতিল বা নামঞ্জুর করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ না দিয়া কোন আবেদন বাতিল বা নামঞ্জুর করা যাইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতকরণ |
|
২৬৷ (১) এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,
নিয়ন্ত্রক যে কোন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবেন, যদি তিনি এই
মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ-
(ক) লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করিবার বিষয়ে ভুল বা অসত্য তথ্য প্রদান করিয়াছে;
(খ) লাইসেন্সে শর্তাবলী পালনে ব্যর্থ হইয়াছে;
(গ) ধারা ২১ (২) এর অধীন নির্ধারিত মানদণ্ড বজায় রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছে;
(ঘ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান বা আদেশের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়াছে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিয়া
এই ধারার অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল করা যাইবে না৷
(৩) নিয়ন্ত্রকের
যদি বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন
লাইসেন্স বাতিলের কারণ উদ্ভূদ হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি আদেশ দ্বারা,
তদকর্তৃক নির্দেশিত তদন্ত সম্পন্ন্ন হওয়া পর্যন্ত উক্ত লাইসেন্স সাময়িকভাবে
স্থগিত করিতে পারিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন লাইসেন্স
সাময়িক স্থগিত আদেশের বিষয়ে সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে কারণ
দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিযা কোন লাইসেন্স ১৪ (চৌদ্দ) দিনের
অধিক মেয়াদের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করা যাইবে না৷
(৫) এই ধারার
অধীন কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত
করা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স স্থগিত থাকাকালীন মেয়াদে কোন ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করিতে পরিবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিতের নোটিশ |
|
২৭৷ (১) কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের
লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হইলে, নিয়ন্ত্রক তদকর্তৃক
সংরক্ষিত উপাত্ত-ভান্ডারে উক্ত বাতিল বা, ক্ষেত্রমত, সাময়িক স্থগিত আদেশের
নোটিশ প্রকাশ করিবেন৷
(২) একাধিক সংরক্ষণাধার থাকিবার ক্ষেত্রে,
বাতিল বা, ক্ষেত্রমত, সাময়িকভাবে স্থগিত আদেশের নোটিশ উক্ত সকল
সংরক্ষণাধারে প্রকাশ করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ বাতিল
বা, ক্ষেতমত, সাময়িকভাবে স্থগিত আদেশের নোটিশসম্বলিত উপাত্ত-ভান্ডার
ওয়েবসাইটসহ ইলেক্ট্রনিক বা অন্য কোন মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য সার্বক্ষণিক
প্রাপ্তিসাধ্য করিতে হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ক্ষমতা অর্পণ |
|
২৮৷ নিয়ন্ত্রক এই আইনের অধীন তাহার যে কোন
ক্ষমতা লিখিতভাবে উপ-নিয়ন্ত্রক, সহকারী নিয়ন্ত্রক বা তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন
অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তদন্তের ক্ষমতা |
|
২৯৷ (১) নিয়ন্ত্রক বা তদকর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে
ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোন কর্মকর্তা এই আইন বা তদধীন
প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান লংঘনের তদন্ত করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে, নিয়ন্ত্রক বা
উক্ত কর্মকর্তা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগ
করিতে পারিবেন, যথাঃ
(ক) উদঘাটন এবং পরিদর্শন;
(খ) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাহাকে শপথের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করা;
(গ) কোন দলিল উপস্থাপনে বাধ্য করা; এবং
(ঘ) কমিশনে কোন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা পরীক্ষা করা৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কম্পিউটার এবং উহাতে ধারণকৃত উপাত্তে প্রবেশ |
|
৩০৷ (১) ধারা ৪৫ এর বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া,
নিয়ন্ত্রক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির যদি যুক্তিসংগত
কারণে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান লংঘিত হইয়াছে
বলিয়া সন্দেহ হয়, তাহা হইলে তদন্ত করিবার স্বার্থে তিনি কোন কম্পিউটার
সিস্টেমে ধারণকৃত বা প্রাপ্তিসাধ্য কোন তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করিবার
উদ্দেশ্যে উক্ত কম্পিউটার সিস্টেম বা কোন যন্ত্রপাতি বা উপাত্ত বা উক্ত
সিস্টেমের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করিতে পরিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিয়ন্ত্রক বা তদকর্তৃক
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, আদেশ দ্বারা, কোন কম্পিউটার সিস্টেম,
যন্ত্রপাতি, উপাত্ত বা বিষয়বস্তুর পরিচালনা বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তিকে
প্রয়োজনীয় যে কোন প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করিবার নির্দেশ
প্রদান করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন নির্দেশ
প্রদান করা হইলে নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশানুসারে সহযোগিতা
করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কতিপয় বিষয়ে সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুসরণীয় বিধান |
|
৩১৷ প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ-
(ক) অনধিকার প্রবেশ ও অপব্যবহার রোধের উদ্দেশ্যে নিরাপদ হার্ডওয়ার, সফটওয়ার এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ব্যবহার করিবে;
(খ) এই আইনের অধীন কার্যসম্পাদনের উদ্দেশ্যে যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োজনীয় মানের নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করিবে;
(গ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের গোপনীয়তা এবং একান্ততা নিশ্চিত করিবার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করিবে; এবং
(ঘ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য মানদণ্ড অনুসরণ করিবে ৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইন, ইত্যাদির, প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ |
|
৩২৷ প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
তদকর্তৃক নিযুক্ত বা অন্য কোনভাবে নিয়োজিত প্রত্যেক ব্যক্তি এই আইনের অধীন
স্বীয় কার্যসম্পাদন ও দায়িত্ব পালনকালে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের বিধানসমূহের প্রতিপালন নিশ্চিত করিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স প্রদর্শন |
|
৩৩৷ প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
উহার ব্যবসায় পরিচালনার স্থানের কোন প্রকাশ্য স্থানে উহার লাইসেন্স
সংশ্লিষ্ট সকলের অবলোকনের জন্য প্রদর্শন করিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স সমর্পণ |
|
৩৪৷ এই আইনের অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল বা,
ক্ষেত্রমত, স্থগিত করা হইলে উক্ত বাতিল বা, ক্ষেত্রমত, স্থগিতকরণের পর
অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত লাইসেন্স
নিয়ন্ত্রকের নিকট সমর্পণ করিবে ৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কতিপয় বিষয় প্রকাশ করা |
|
৩৫৷ (১) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি প্রকাশ করিবে, যথাঃ-
(ক)
অন্য ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বৈধ করিবার জন্য সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট;
(খ) সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়ে অনুসৃত রীতি ও পদ্ধতির বিবরণ;
(গ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট বাতিল বা স্থগিতের নোটিশ, যদি থাকে; এবং
(ঘ)
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর
সার্টিফিকেটের বিশ্বাসযোগ্যতা বা উহার সেবা প্রদানের সামর্থ সম্পর্কে বিরূপ
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হইতে পারে এমন অন্য কোন তথ্য ৷
(২) যদি এমন
কোন ঘটনা ঘটে বা এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যাহাতে সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত কর্তৃপক্ষের কম্পিউটার
সিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতায় বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে বা উক্ত
কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটের শর্তের ব্যত্যয়
ঘটিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে
এমন সকল ব্যক্তিকে অবহিত করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বা উক্ত
পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য অনুসৃত রীতি ও
পদ্ধতির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে ৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সার্টিফিকেট ইস্যুকরণ |
|
৩৬৷ নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সম্পর্কে নিশ্চিত হইলে,
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কোন সম্ভাব্য গ্রাহককে সার্টিফিকেট
ইস্যু করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্য আবেদনকারী গ্রাহক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করা হইয়াছে কি না;
(খ) আবেদনকারী গ্রাহকের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াসহ উক্ত বিষয়ে অনুসরণীয় রীতি ও পদ্ধতি প্রতিপালিত হইয়াছে কি না;
(গ) আবেদনকারী গ্রাহক ইস্যুতব্য সার্টিফিকেটের জন্য একজন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কি না;
(ঘ) ইস্যুতব্য সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনকারী গ্রাহক প্রদত্ত সকল তথ্য সঠিক আছে কি না; এবং
(ঙ) সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার জন্য নির্ধারিত ফিস উক্ত গ্রাহক কর্তৃক প্রদান করা হইয়াছে কি না।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিশ্চয়তা প্রদান |
|
৩৭৷ (১) সার্টিফিকেটে বর্ণিত ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর বা সার্টিফিকেটের উপর যুক্তিসঙ্গতভাবে আস্থাবান যে কোন ব্যক্তিকে,
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার সময় এই মর্মে
নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে উক্ত কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য
অনুসরণীয় রীতি ও পদ্ধতি প্রতিপালনে সার্টিফিকেট ইস্যু করিয়াছে, অথবা উক্ত
বিষয়ে আস্থাবান ব্যক্তি অবহিত রহিয়াছেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এ
উল্লিখিত অনুসৃত রীতি ও পদ্ধতি না থাকিবার ক্ষেত্রে, সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করিবে যে,-
(ক)
সার্টিফিকেট ইস্যুকরণে সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এই আইন এবং তদধীন
প্রণীত বিধি ও প্রবিধানের অধীন সকল আবশ্যকতা প্রতিপালন করিয়াছে, এবং যদি
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট প্রকাশ করিয়া থাকেন অথবা
অন্য কোন প্রকারে উহা অনুরূপ আস্থাবান ব্যক্তির জন্য লভ্য করিয়া থাকেন,
তাহা হইলে সার্টিফিকেটে তালিকাভুক্ত গ্রাহক উহা গ্রহণ করিয়াছেন;
(খ)
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সার্টিফিকেটে অথবা বরাত হিসাবে
সার্টিফিকেটে অর্ন্তভুক্ত তথ্যের নির্ভুলতা বা যথার্থতার নিশ্চয়তা
সম্পর্কিত কোন কিছু না থাকিলে সার্টিফিকেটে বর্ণিত সকল তথ্য সঠিক;
(গ)
কোন তথ্য সার্টিফিকেটে অর্ন্তভুক্ত করা হইলে দফা (ক) এবং (খ) এ প্রদত্ত
নিশ্চয়তার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করিতে পারে এমন কোন তথ্য সম্পর্কে
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কোন জ্ঞান নাই৷
(৩) যদি
প্রযোজ্য সার্টিফিকেট প্রদান রীতি ও পদ্ধতির বিবরণ বরাত হিসাবে কোন
সার্টিফিকেটে অর্ন্তভুক্ত হয় বা উক্ত বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনকারী ব্যক্তির
জ্ঞান থাকে, তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এর বিধান উক্তরূপে প্রদত্ত সার্টিফিকেট
প্রদান রীতি ও পদ্ধতির বিবরণের সহিত যতটুকু সামঞ্জস্য পূর্ণ হয় ততটুকু
প্রযোজ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বাতিল |
|
৩৮৷ (১) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
তদকর্তৃক ইস্যুকৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট নিম্নবর্ণিত কারণে
বাতিল করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) কোন গ্রাহক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষগমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি উহা বাতিলের আবেদন করিলে;
(খ) কোন গ্রাহকের মৃত্যু হইলে; বা
(গ) গ্রাহক কোম্পানি হইবার ক্ষেত্রে, উহার অবসায়ন হইলে বা অন্য কোনভাবে উহার বিলুপ্তি ঘটিলে৷
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে এবং উপ-ধারা (১) এর বিধানের
সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
তদ্কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বাতিল করিতে
পারিবে, যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে-
(ক) কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটে উপস্থাপিত তথ্য মিথ্যা বা গোপন করা হইয়াছে;
(খ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার সকল আবশ্যকতা পূরণ করা হয় নাই;
(গ)
প্রত্যায়নকারী কর্তৃপক্ষের সনাক্তকরণ পদ্ধতি এমনভাবে পরিবর্তন করা হইয়াছে
যাহার দ্বারা ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটের নির্ভরযোগ্যতা
বস্তুগতভাবে ও সামগ্রিকভাবে ক্ষুণ্ন হইয়াছে; বা
(ঘ) উপযুক্ত আদালত কর্তৃক গ্রাহক দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছে৷
(৩) গ্রাহককে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ না দিয়া এই ধারার অধীন কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বাতিল করা যাইবে না৷
(৪) এই ধারার অধীন কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বাতিল করিবার পর
অবিলম্বে বিষয়টি সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে
অবহিত করিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট স্থগিতকরণ |
|
৩৯৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে,
নিম্নবর্ণিত কারণে কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ তদ্কর্তৃক
ইস্যুকৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাতগর সার্টিফিকেট স্থগিত করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক)
সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক সার্টিফিকেটে তালিকাভুক্ত গ্রাহক অথবা উক্ত
গ্রাহকের নিকট হইতে ক্ষগমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি উহা স্থগিতের অনুরোধ জ্ঞাপন
করিলে;
(খ) সার্র্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটটি স্থগিত রাখা সমীচীন মনে করিলে৷
(২) সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা
(১) (খ) এর অধীন কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট স্থগিত করা যাইবে
না৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক কর্তৃক
প্রদত্ত ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নহে মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট স্থগিত করিতে পারিবে৷
(৪) কোন
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট স্থগিতকরণের পর অবিলম্বে সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অবহিত করিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাতিল বা স্থগিতকরণের নোটিশ |
|
৪০৷ (১) কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট
ধারা ৩৮ এর অধীন বাতিল বা ধারা ৩৯ এর অধীন স্থগিত করা হইলে, সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত বাতিল বা, ক্ষেত্রমত, স্থগিতকরণের জন্য
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সংরক্ষণাধারে
তদ্বিয়য়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করিবে৷
(২) একাধিক সংরক্ষণাধার
থাকিবার ক্ষেত্রে, সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর
সার্টিফিকেট বাতিল বা, ক্ষেত্রমত, স্থগিতকরণের নোটিশ উক্ত সকল সংরক্ষণাধারে
প্রকাশ করিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
ষষ্ঠ অধ্যায় গ্রাহকের দায়িত্বাবলী |
|
|
নিরাপত্তা পদ্ধতির প্রয়োগ |
|
৪১৷ সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
ইস্যুকৃত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটের শুদ্ধতা নিশ্চিত করিবার জন্য
গ্রাহক যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট গ্রহণ |
|
৪২৷ (১) কোন গ্রাহক কর্তৃক কোন ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর সার্টিফিকেট গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি তিনি স্বয়ং বা
তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উহা এক বা একাধিক
ব্যক্তির নিকট বা কোন সংরক্ষণাধারে প্রকাশ করেন৷
(২) ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর সার্টিফিকেট গ্রহণ করিয়া গ্রাহক উহাতে বর্ণিত তথ্যের উপর
যুক্তিসংগতভাবে আস্থাভাজন সকলের নিকট প্রত্যয়ন করিতে পারিবে যে-
(ক)
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রাহকের প্রদত্ত সকল বর্ণনা এবং
ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটে বর্ণিত সকল তথ্য এবং প্রাসঙ্গিক সকল
বিষয়াদি সঠিক; এবং
(খ) গ্রাহকের জানামতে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সাটিফিকেটের সকল তথ্য সত্য৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সার্টিফিকেট পাইবার ক্ষেত্রে উপস্থাপিত তথ্য সম্পর্কে অনুমান |
|
৪৩৷ কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট
পাইবার উদ্দেশ্যে, গ্রাহক কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট
উপস্থাপিত সকল বস্তুগত তথ্য এবং গ্রাহকের জানামতে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর
সার্টিফিকেটে অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে এমন সকল তথ্য, উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃক
নিশ্চিত করা হউক বা না হউক, গ্রাহকের সর্বোচ্চ জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সঠিক ও
সম্পূর্ণরূপে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
গ্রাহকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ |
|
৪৪৷ (১) প্রত্যেক গ্রাহক তাহার ইলেক্ট্রনিক
স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখিতে যত্নবান
হইবেন, এবং গ্রাহকের ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সংযুক্ত করিবার জন্য
অনুমোদনপ্রাপ্ত নহেন এমন কোন ব্যক্তির নিকট উহা প্রকাশ না করিবার সকল
পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে যদি
কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষুণ্ন হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক
অনতিবিলম্বে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপতগকে
নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবহিত করিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
সপ্তম অধ্যায় আইনের বিধান লঙ্ঘন, প্রতিবিধান ও জরিমানা আরোপ, ইত্যাদি |
|
|
নির্দেশ প্রদানে নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা |
|
৪৫৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের
কোন বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রক, আদেশ দ্বারা, কোন
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা উহার কোন কর্মচারীকে আদেশে
উল্লিখিতমতে কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা কোন কাজ করা হইতে বিরত
থাকিতে বা নিয়ন্ত্রকের বিবেচনামতে অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে নির্দেশ
প্রদান করিতে পরিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জরুরী পরিস্থিততে নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা |
|
৪৬৷ (১) নিয়ন্ত্রক যদি এই মর্মে সস্তুষ্ট হন
যে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, অন্যান্য বিদেশী
রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
রতগার স্বার্থে বা এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা
প্রতিরোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি,
লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক, আদেশ দ্বারা, সরকারের কোন আইন প্রয়োগকারী
সংস্থাকে কোন কম্পিউটার রিসোর্সের মাধ্যমে কোন তথ্য সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার
নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ
জারী করা হইলে, উক্ত আদেশে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসারে কোন গ্রাহক বা
কম্পিউটার রিসোর্স এর তত্ত্বাবধায়ক উক্ত সংস্থাকে কোন তথ্য উম্মোচন
(decrypt) করিবার জন্য সকল সুবিধা এবং কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য
থাকিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সংরক্ষিত সিস্টেম ঘোষণার ক্ষমতা |
|
৪৭৷ (১) নিয়ন্ত্রক, সরকারি বা তদরিক্ত
ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার
সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একটি সংরতিগত সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা
করিতে পারিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত সংরক্ষিত সিস্টেমে
প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রক, লিখিত আদেশ
দ্বারা কোন ব্যক্তিকে তগমতা প্রদান করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ডকুমেন্ট, রিটার্ণ ও রিপোর্ট প্রদানে ব্যর্থতার প্রতিবিধান |
|
৪৮৷ কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের অধীন প্রদেয় ডকুমেন্ট, রিটার্ণ ও রিপোর্ট নিয়ন্ত্রক বা
সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হইলে,
নিয়ন্ত্রক বা এতদুদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রক বা, ক্ষেতমত, সরকারের নিকট হইতে
সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ
উল্লেখপূর্বক, প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা, উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে অনধিক দশ
হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তথ্য, বই, ইত্যাদি জমা করিতে ব্যর্থতার প্রতিবিধান |
|
৪৯৷ কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, কোন তথ্য, বই বা
অন্য কোন ডকুমেন্ট সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হইলে, নিয়ন্ত্রক বা এতদুদ্দেশ্যে
নিয়ন্ত্রক বা, ক্ষেতমত, সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, প্রশাসনিক আদেশ
দ্বারা, উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে অনধিক দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে
পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
হিসাব বই বা রেকর্ড সংরক্ষণে ব্যর্থতার প্রতিবিধান |
|
৫০৷ কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের অধীন সংরতগণীয় কোন হিসাব বহি বা রেকর্ড সংরতগণ করিতে ব্যর্থ
হইলে, নিয়ন্ত্রক বা এতদুদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রক বা, ক্ষেত্রমত, সরকারের নিকট
হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা লিখিতভাবে
কারণ উল্লেখপূর্বক, প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা, উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে অনধিক
দুই লতগ টাকা জরিমানা আদায় করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অন্যান্য ক্ষেত্রে জরিমানা |
|
৫১৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের
এমন কোন বিধান যাহার বিষয়ে পৃথকভাবে কোন জরিমানা বা অর্থদণ্ডের বিধান করা
হয় নাই, কোন ব্যক্তি এমন কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে, নিয়ন্ত্রক বা এতদুদ্দেশ্যে
নিয়ন্ত্রক বা, ক্ষেত্রমত, সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক, প্রশাসনিক আদেশ
দ্বারা, উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত বিধান লঙ্ঘন করিবার দায়ে অনধিক পঁচিশ
হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্ভাব্য লংঘনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশদানের ক্ষমতা |
|
৫২৷ (১) নিয়ন্ত্রক যদি মনে করেন যে, কোন ব্যক্তি
এমন কার্য করিতে উদ্যোগী হইয়াছেন বা হইতেছেন যাহার ফলে এই আইন, তদধীন
প্রণীত বিধি, প্রবিধান, লাইসেন্সের কোন বিধান বা শর্ত বা নিয়ন্ত্রকের কোন
নির্দেশ লংঘিত হইতেছে বা হইবে, তাহা হইলে উক্ত কার্য হইতে কেন তিনি বিরত
হইবেন না বা থাকিবেন না সেই মর্মে তদ্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের নোটিশ জারী
করিয়া তাহার বক্তব্য লিখিতভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন
এবং উক্তরূপে কোন বক্তব্য উপস্থাপিত হইলে উহা বিবেচনান্তে নিয়ন্ত্রক উক্ত
কার্য হইতে বিরত থাকিবার জন্য বা উক্ত কার্য সম্পর্কে নিয়ন্ত্রকের বিবেচনায়
অন্য কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
(২) নিয়ন্ত্রক যদি
সন্তুষ্ট হন যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন লঙ্ঘন বা সম্ভাব্য লঙ্ঘনের
প্রকৃতি এমন যে, অবিলম্বে উক্ত কার্য হইতে উক্ত ব্যক্তিকে বিরত রাখা
প্রয়োজন, তাহা হইলে নিয়ন্ত্রক উক্ত উপ-ধারার অধীন নোটিশ জারীর সময়েই তাহার
বিবেচনায় যথাযথ বলিয়া বিবেচিত যে কোন অন্তবর্তী আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন
যে, উক্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত কার্য
হইতে বিরত থাকিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশ প্রতিপালনে বাধ্য থাকিবেন৷
(৪) কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন প্রদত্ত নির্দেশ লঙ্ঘন করিলে নিয়ন্ত্রক
তাহার নিকট হইতে অনধিক দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করিতে পারিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জরিমানা |
|
৫৩৷ (১) এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য জরিমানার
অতিরিক্ত হিসাবে নিয়ন্ত্রক বিধি দ্বারা নির্ধারিত এই আইনের অন্যান্য বিধান
লংঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
(২) এই
আইন বা বিধির কোন বিধান লংঘনের ক্ষেত্রে লঙ্ঘনকারীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত
সুযোগ না দিয়া এই আইনের অধীন কোন জরিমানা আরোপ করা যাইবে না৷
(৩)
জরিমানা আরোপের বিষয়ে নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্ত প্রদানের তারিখের সাত দিনের
মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত পুনরীক্ষণের জন্য নিয়ন্ত্রকের নিকট
আবেদন করিতে পারিবেন এবং এইরূপে কোন আবেদন দাখিল করা হইলে আবেদনকারীকে
শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া নিয়ন্ত্রক অনধিক পনের দিনের মধ্যে
উহা নিষ্পত্তি করিবেন৷
(৪) এই আইনের অধীন প্রদত্ত জরিমানা পরিশোধ
না করা হইলে উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Bengal Act III of
1913) এর অধীন সরকারী দাবী গণ্যে আদায়যোগ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
অষ্টম অধ্যায় অপরাধ, তদন্ত, বিচার, দন্ড ইত্যাদি |
|
|
কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির অনিষ্ট সাধন ও দণ্ড |
|
৫৪৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে- (ক)
উহার ফাইলে রতিগত তথ্য বিনষ্ট করিবার বা ফাইল হইতে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ
করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার
নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করিতে সহায়তা করেন; (খ)
কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোন
উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার বা তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা
স্থানান্তরযোগ্য সংরতগণ ব্যবস্থায় রতিগত বা জমাকৃত তথ্য (removable storage
medium) বা উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার
নেটওয়ার্ক এর তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ
সংগ্রহ করেন; (গ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার
নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ধরনের কম্পিউটার সংক্রামক বা দূষক বা
কম্পিউটার ভাইরাস প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন; (ঘ)
ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,
উপাত্ত, কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন বা ক্ষতিসাধনের
চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোন
প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন; (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন বা করিবার চেষ্টা করেন; (চ)
কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোন বৈধ বা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা
করিবার চেষ্টা করেন; (ছ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের
কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার
নেটওয়ার্কে কোন ব্যক্তিকে অবৈধ প্রবেশে সহায়তা প্রদান করেন; (জ)
ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোন পণ্য বা সেবা বিপণনের
উদ্দেশ্যে, স্পাম উত্পাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা
অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন; (ঝ) কোন কম্পিউটার বা
কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা
কারসাজি করিয়া কোন ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বাবদ ধার্য চার্জ অন্যের হিসাবে
জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি
৩[
অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে], বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷ ব্যাখ্যাঃ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,- (ক) ”কম্পিউটার দূষণ” অর্থ এমন সব কম্পিউটার নির্দেশনা যাহা নিম্নবর্ণিত কার্যের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়- (অ)
কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত কোন
রেকর্ড, উপাত্ত বা প্রোগ্রামের প্রেরণ বা সঞ্চারণ কার্যের পরিবর্তন বা
বিনাশ সাধন; (আ) যে কোন উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা; (খ)
”কম্পিউটার উপাত্ত-ভাণ্ডার” অর্থ টেক্সট, ইমেজ, অডিও বা ভিডিও আকারে
উপস্থাপিত তথ্য জ্ঞান, ঘটনা, মৌলিক ধারণা বা নির্দেশাবলী, যাহা- (অ) কোন কম্পিউটারের বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দ্বারা আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত হইতেছে বা হইয়াছে; এবং (আ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হইয়াছে; (গ) ”কম্পিউটার ভাইরাস” অর্থ এমন কম্পিউটার নির্দেশ, তথ্য, উপাত্ত বা প্রোগ্রাম, যাহা- (অ) কোন কম্পিউটার সম্পাদিত কার্যকে বিনাস, ক্ষতি বা ক্ষুণ্ন করে বা উহার কার্য-সম্পাদনের দক্ষতায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে; বা (আ)
নিজেকে অন্য কোন কম্পিউটারের সহিত সংযুক্ত করিয়া উক্ত কম্পিউটারের কোন
প্রোগ্রাম, উপাত্ত বা নির্দেশ কার্যকর করিবার বা কোন ক্রিয়া সম্পাদনের সময়
নিজেই ক্রিয়াশীল হইয়া উঠে এবং উহার মাধ্যমে উক্ত কম্পিউটার কোন ঘটনা ঘটায়; (ঘ)
”ক্ষতি” অর্থ এমন কোন কার্য যাহার দ্বারা কোন কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য বা
উপাত্ত বিনষ্ট, পরিবর্তন, সংযোজন, সংশোধন বা পুনঃবিন্যাস করা হয় বা মুছিয়া
ফেলা হয়৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৫৫৷ কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে,
কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার
নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত কম্পিউটার সোর্স কোড, গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন, বা
অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক
গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করিবার চেষ্টা করেন এবং উক্ত সোর্স কোডটি যদি
আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা সংরক্ষণযোগ্য বা রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য হয়,
তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা
(১) এর অধীন কোন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক তিন বত্সর কারাদণ্ডে, বা অনধিক তিন
লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতে হইবেন৷
ব্যাখ্যাঃ এই
ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, �কম্পিউটার সোর্স কোড� অর্থ তালিকাভুক্ত
প্রোগ্রাম, কম্পিউটার কমান্ড, ডিজাইন ও লে-আইট তালিকাভুক্তি এবং কম্পিউটার
রিসোর্সের যে কোন ধরনের প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কম্পিউটার সিস্টেমের হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৫৬৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি- (ক) জনসাধারণের
বা কোন ব্যক্তির ক্ষতি করিবার উদ্দেশ্যে বা ক্ষতি হইবে মর্মে জ্ঞাত হওয়া
সত্ত্বেও এমন কোন কার্য করেন যাহার ফলে কোন কম্পিউটার রিসোর্সের কোন তথ্য
বিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাস পায় বা অন্য
কোনভাবে উহাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে; (খ) এমন কোন কম্পিউটার, সার্ভার,
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ
করার মাধ্যমে ইহার ক্ষতিসাধন করেন, যাহাতে তিনি মালিক বা দখলকার নহেন; তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি হ্যাকিং অপরাধ৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন হ্যাকিং অপরাধ করিলে তিনি
৪[
অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে], বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইলেক্ট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব
সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার
করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে,
দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার
দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি
হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে
বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের
বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি
অপরাধ৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি
৫[
অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
লাইসেন্স সমর্পণে ব্যর্থতা ও উহার দণ্ড |
|
৫৮৷ (১) ধারা ৩৪ এর অধীন কোন সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যদি কোন লাইসেন্স সমর্পণ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে
যে ব্যক্তির অনুকূলে উক্ত লাইসেন্স প্রদান করা হইয়াছিল সেই ব্যক্তির উক্ত
ব্যর্থতা হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন
অপরাধ করিলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক দশ হাজার টাকা
অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নির্দেশ লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৫৯৷ (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের কোন বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রক, আদেশ
দ্বারা, কোন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা উহার কোন কর্মচারীকে
আদেশে উল্লিখিতমতে কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা কোন কার্য করা হইতে
বিরত থাকিতে নির্দেশ প্রদান করিলে কোন ব্যক্তি যদি উক্ত নির্দেশ লংঘন করেন,
তাহা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা
(১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক এক লক্ষ
টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জরুরী পরিস্থিততে নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ অমান্যে দণ্ড |
|
৬০৷ (১) বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা,
নিরাপত্তা, অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে বা এই আইনের অধীন
দণ্ডযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা প্রতিরোধের জন্য নিয়ন্ত্রক, লিখিত
আদেশ দ্বারা, সরকারের কোন আইন প্রণয়নকারী সংস্থাকে কোন কম্পিউটার রিসোর্সের
মাধ্যমে কোন তথ্য সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করিলে কোন
ব্যক্তি অনুরূপ বাধা অমান্য করিয়া কোন তথ্য সম্প্রচার করিলে উহা হইবে একটি
অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি
অনধিক পাঁচ বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়
দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৬১৷ (১) নিয়ন্ত্রক, সরকারী বা ঐচ্ছিকভাবে
ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা
কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে একটি সংরক্ষিত সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও
যদি কোন ব্যক্তি উক্ত সংরক্ষিত কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে
অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করেন, তাহা হইলে তাহার এই অননুমোদিত প্রবেশ হইবে একটি
অপরাধ৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধ করিলে তিনি
৬[
অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে], বা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মিথ্যা প্রতিনিধিত্ব ও তথ্য গোপন সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৬২৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি লাইসেন্স বা
ইলেক্ট্রনিক স্বাতগর সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য নিয়ন্ত্রক বা সার্টিফিকেট
প্রদানকারী কর্তৃপতেগর নিকট মিথ্যা পরিচয় প্রদান করেন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য গোপন করেন, তাহা হইলে তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২)
কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দুই বৎসর
কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
গোপনীয়তা প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৬৩৷ (১) এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে
ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, কোন ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি
বা প্রবিধানের কোন বিধানের অধীন কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার,
পত্রযোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত
হইয়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে, কোন ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড, বই,
রেজিস্টার, পত্রযোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তু অন্য কোন
ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দুই বৎসর
কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ভুয়া (false) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড |
|
৬৪৷ (১) কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নিম্নবর্ণিত
বিষয়ে কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রকাশ বা অন্য কোনভাবে অন্য
কোন ব্যক্তির প্রাপ্তিসাধ্য করিবেন না, যাহা-
(ক) তালিকাভুক্ত সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত হয় নাই; বা
(খ) তালিকাভুক্ত গ্রাহক কর্তৃক উহা গৃহীত হয় নাই; বা
(গ) বাতিল বা স্থগিত করা হইয়াছে;
যদি না উক্ত প্রকাশনা কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর বাতিল বা স্থগিতের পূর্বেই
যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হইয়া থাকে এবং যদি উক্ত বিধান লংঘনক্রমে
উক্ত সার্টিফিকেট প্রকাশ বা অন্য কোনভাবে অন্য কোন ব্যক্তির প্রাপ্তিসাধ্য
করেন, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি
উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক
দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রকাশ, ইত্যাদি সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড |
|
৬৫৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণা
বা অন্য কোন বে-আইনী উদ্দেশ্যে কোন ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট
প্রস্তুত, প্রকাশ বা প্রাপ্তিসাধ্য করেন, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে
একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধ করিলে
তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা
উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন ও উহার দণ্ড |
|
৬৬৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন
কম্পিউটার, ই-মেইল বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, রিসোর্স বা সিস্টেম ব্যবহারের
মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তাহার উক্ত
কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিবার ক্ষেতে মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত
রহিয়াছে তিনি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কোম্পানী, ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন |
|
৬৭৷ কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন
অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে
কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং
কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না প্রমাণ করা
যায় যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ
করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায়- (ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন |
|
৬৮৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচারের উদ্দেশ্যে,
এক বা একাধিক সাইবার ট্রাইব্যুনাল, অতঃপর সময় সময় ট্রাইব্যুনাল বলিয়া
উল্লিখিত, গঠন করিতে পারিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত সাইবার
ট্রাইব্যুনাল সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত
একজন দায়রা জজ বা একজন অতিরিক্ত দায়রা জজের সমন্বয়ে গঠিত হইবে; এবং
অনুরূপভাবে নিযুক্ত একজন বিচারক “বিচারক, সাইবার ট্রাইব্যুনাল” নামে
অভিহিত হইবেন৷
(৩) এই ধারার অধীন গঠিত সাইবার ট্রাইব্যুনালকে সমগ্র
বাংলাদেশের স্থানীয় অধিক্ষেত্র অথবা এক বা একাধিক দায়রা ডিভিশনের
অধিক্ষেত্র প্রদান করা যাইতে পারে; এবং উক্ত ট্রাইব্যুনাল কেবল এই আইনের
অধীন অপরাধের মামলার বিচার করিবে৷
(৪) সরকার কর্তৃক পরবর্তীতে গঠিত
কোন ট্রাইব্যুনালকে সমগ্র বাংলাদেশের অথবা এক বা একাধিক দায়রা বিভাগের
সমন্বয়ে গঠিত উহার অংশ বিশেষের স্থানীয় অধিক্ষেত্র ন্যস্ত করিবার কারণে
ইতঃপূর্বে কোন দায়রা আদালতে এই আইনের অধীন নিস্পন্নাাধীন মামলার বিচার
কার্যক্রম স্থগিত, বা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় অধিক্ষেত্রের ট্রাইব্যুনালে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলী হইবে না, তবে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,
দায়রা আদালতে নিষ্পন্নাধীন এই আইনের অধীন কোন মামলা বিশেষ স্থানীয়
অধিক্ষেত্রসম্পন্ন ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে৷
(৫) কোন
ট্রাইব্যুনাল, ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে, যে সাক্ষীর সাক্ষ্য
গ্রহণ করা হইয়াছে উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনঃগ্রহণ, বা পুনঃশুনানী গ্রহণ
করিতে, অথবা উপ-ধারা (৪) এর অধীন গৃহীত কার্যধারা পুনরায় আরম্ভ করিতে
বাধ্য থাকিবে না, তবে ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে যে সাক্ষ্য গ্রহণ বা উপস্থাপন
করা হইয়াছে উক্ত সাক্ষের ভিত্তিতে কার্য করিতে এবং মামলা যে পর্যায়ে ছিল
সেই পর্যায় হইতে বিচারকার্য অব্যাহত রাখিতে পারিবে৷
(৬) সরকার,
আদেশ দ্বারা, যে স্থান বা সময় নির্ধারণ করিবে সেই স্থান বা সময়ে বিশেষ
ট্রাইব্যুনাল আসন গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিতে
পারিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচার পদ্ধতি |
|
৬৯৷ (১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ কোন পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট
৭[
অথবা] নিয়ন্ত্রক বা তদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন
কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ
গ্রহণ করিবে না৷ (২) ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন
অপরাধের বিচারকালে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির অধ্যায়
২৩ এর বর্ণিত পদ্ধতি, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া
সাপেক্ষে, অনুসরণ করিবে৷ (৩) কোন ট্রাইব্যুনাল, ন্যায়বিচারের
স্বার্থে প্রয়োজনীয় না হইলে, এবং কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ না করিয়া, কোন
মামলার বিচারকার্য স্থগিত করিতে পারিবে না৷ (৪) যেইক্ষেত্রে
ট্রাইব্যুনালের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক
রহিয়াছেন বা আত্মগোপন করিয়াছেন যে কারণে তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া বিচারের
জন্য উপস্থিত করা সম্ভব নহে এবং তাহাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের অবকাশ নাই,
সেইক্ষেত্রে উক্ত ট্রাইব্যুনাল, আদেশ দ্বারা, বহুল প্রচারিত অন্যান্য জাতীয়
দুইটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে, অনুরূপ ব্যক্তিকে আদেশে উল্লিখিত সময়ের
মধ্যে হাজির হইবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরূপ
নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে তাহার অনুপস্থিতিতেই তাহার বিচার করা হইবে৷
(৫) ট্রাইব্যুনালের সামনে অভিযুক্ত ব্যক্তি উপস্থিত হইবার বা জামিনে
মুক্তি পাইবার পর পলাতক হইলে অথবা উহার সম্মুখে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে,
উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত ট্রাইব্যুনাল
উহার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিয়া অনুরূপ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই বিচার করিবে৷
(৬) ট্রাইব্যুনাল, উহার নিকট পেশকৃত আবেদনের ভিত্তিতে, বা উহার নিজ
উদ্যোগে, কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, নিয়ন্ত্রক বা এতদুদ্দেশ্যে
নিয়ন্ত্রকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন সংঘটিত
অপরাধ সংশ্লিষ্ট যে কোন মামলা পুনঃতদন্তের, এবং তদ্কর্তৃক নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নিদের্শ প্রদান করিতে পারিবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ |
|
৭০৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী, যতদূর
সম্ভব, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে,
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে প্রযোজ্য হইবে, এবং আদি এখতিয়ার প্রয়োগকারী
দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা উক্ত ট্রাইব্যুনালের থাকিবে৷
(২) ট্রাইব্যুনালে সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জামিন সংক্রান্ত বিধান |
|
৭১৷ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করিবেন না, যদি না-
(ক) রাষ্ট্রপক্ষকে অনুরূপ জামিনের আদেশের উপর শুনানীর সুযোগ প্রদান করা হয়;
(খ) বিচারক সন্তুষ্ট হন যে,-
(অ) অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারে দোষী সাব্যস্ত নাও হইতে পারেন মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে;
(আ) অপরাধ আপেক্ষিক অর্থে গুরুতর নহে এবং অপরাধ প্রমাণিত হইলেও শাস্তি কঠোর হইবে না; এবং
(গ) তিনি অনুরূপ সস্তুষ্টির কারণসমূহ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
রায় প্রদানের সময়সীমা |
|
৭২৷ (১) ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাক্ষ্য অথবা
যুক্তিতর্ক সমাপ্ত হইবার তারিখ হইতে, যাহা পরে ঘটে, দশ দিনের মধ্যে রায়
প্রদান করিবেন, যদি না তিনি লিখিতভাবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সময়সীমা
অনধিক দশ দিন বৃদ্ধি করেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ট্রাইব্যুনাল
কর্তৃক রায় প্রদান করা হইলে বা উক্ত রায়ের অধীন সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালে
কোন আপীল দায়ের হইলে উক্ত আপীলের রায়ের কপি ধারা ১৮(৭) এর অধীন গঠিত
ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড সংরক্ষণ কক্ষে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট
ট্রাইব্যুনাল বা সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল উহার রায়ের কপি নিয়ন্ত্রকের নিকট
প্রেরণ করিবে; উক্তরূপে কোন রায়ের কপি প্রেরণ করা হইলে, নিয়ন্ত্রক উহা
উক্ত কক্ষে সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলা নিষ্পত্তির নির্ধারিত সময়সীমা |
|
৭৩৷ (১) ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিচার কার্য সমাপ্ত করিবেন৷
(২) বিচারক উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন মামলা
নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে, তিনি উহার কারণ লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া
সময়সীমা অনধিক আরও তিন মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২)
এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচারক কোন মামলার নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ
হইলে, তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্ট
বিভাগ ও নিয়ন্ত্রককে অবহিত করিয়া মামলার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখিতে
পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দায়রা আদালত কর্তৃক অপরাধের বিচার |
|
৭৪৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না
কেন, এতদুদ্দেশ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের অধীন
অপরাধসমূহ দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দায়রা আদালত কর্তৃক অনুসরণীয় বিচার পদ্ধতি |
|
৭৫৷ (১) দায়রা আদালত এই আইনের অধীন অপরাধ
বিচারের সময় দায়রা আদালতে বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফৌজদারী কার্যবিধির
অধ্যায় ২৩ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷ (২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট
৮[
অথবা] নিয়ন্ত্রক কিংবা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন
কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কোন দায়রা আদালত আদি এখতিয়ার সম্পন্ন
আদালত হিসাবে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা, ইত্যাদি |
|
৭৬৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক
না কেন, নিয়ন্ত্রক বা নিয়ন্ত্রক হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন
কর্মকর্তা বা সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ
কর্মকর্তা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ তদন্ত করিবেন৷
৯[
(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিয়ন্ত্রক বা তদ্কর্তৃক
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন পুলিশ
কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ একই সাথে তদন্ত করা যাইবে না। (১খ) কোন মামলার তদন্তের যে কোন পর্যায়ে যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব- (ক) পুলিশ কর্মকর্তার নিকট হইতে নিয়ন্ত্রক বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বা (খ)
নিয়ন্ত্রক বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হইতে পুলিশ
কর্মকর্তার, নিকট হস্তান্তর করা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার বা, ক্ষেত্রমত,
সাইবার ট্রাইব্যুনাল, আদেশ দ্বারা, পুলিশ কর্মকর্তার নিকট হইতে নিয়ন্ত্রক
বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা নিয়ন্ত্রক বা
তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হইতে পুলিশ কর্মকর্তার নিকট
হস্তান্তর করিতে পারিবে।]
১০[
(২) ধারা – (ক) ৫৪, ৫৬, ৫৭, ও ৬১ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (Cognizable) ও অ-জামিনযোগ্য হইবে; এবং (খ) ৫৫, ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬২, ৬৩, ৬৪ ও ৬৫ এ উল্লিখিত অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) ও জামিনযোগ্য হইবে;]
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাজেয়াপ্তি |
|
৭৭৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে,
যে কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি, কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি), টেপ
ড্রাইভ বা অন্য কোন আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ বা বস্তু সম্পর্কে বা সহযোগে
উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি উক্ত অপরাধের বিচারকারী আদালতের
আদেশানুসারে বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
(২) যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট
হয় যে, যে ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম,
ফ্লপি ডিক্স, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, বা অন্য কোন আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ
পাওয়া গিয়াছে তিনি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান
লংঘনের জন্য বা অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী নহেন, তাহা হইলে উক্ত কম্পিউটার,
কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিক্স, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোন
আনুষঙ্গিক কম্পিউটার উপকরণ বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না৷
(৩) উপ-ধারা
(১) এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি
ডিস্ক, কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোন আনুষঙ্গিক কম্পিউটার
উপকরণের সহিত কোন বৈধ কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফ্লপি ডিস্ক,
কমপ্যাক্ট ডিস্ক, টেপ ড্রাইভ বা অন্য কোন কম্পিউটার উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা
হইলে সেইগুলিও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক
না কেন, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি কোন সরকারী বা
সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কোন কম্পিউটার বা তৎসংশ্লিষ্ট কোন উপকরণ বা
যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দণ্ড বা বাজেয়াপ্তকরণ অন্য কোন শাস্তি প্রদানে বাধা না হওয়া |
|
৭৮৷ এই আইনের অধীন প্রদত্ত দণ্ড বা
বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে দোষী একই ব্যক্তির উপর অন্য
কোন দণ্ড প্রদানে বাধা হইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কতিপয় ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী দায়ী না হওয়া |
|
৭৯৷ নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী কোন তৃতীয় পক্ষ
তথ্য বা উপাত্ত প্রাপ্তিসাধ্য করিবার জন্য এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা
প্রবিধানের অধীন দায়ী হইবেন না, যদি প্রমাণ করা যায় যে, সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা
লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে ঘটিয়াছে বা উক্ত অপরাধ যাহাতে সংঘটিত না হয় তজ্জন্য
তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছেন৷
ব্যাখ্যাঃ (ক) “নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী” অর্থ কোন যোগাযোগের মাধ্যম;
(খ)
“তৃতীয় পক্ষ তথ্য বা উপাত্ত” অর্থ নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী কর্তৃক
যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে যে তথ্য বা উপাত্ত প্রদান করা হয়৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
১১[
***] আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা |
|
৮০৷ এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান বা
তদন্ত কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রক, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা
সাব-ইন্সপেক্টরের নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস
করিবার কারণ থাকে যে, কোন
১২[
***] স্থানে এই আইনের পরিপন্থী কোন কার্য হইয়াছে বা হইতেছে অথবা এই
আইনের অধীন দণ্ডণীয় কোন অপরাধ সংগঠিত হইয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাস
করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে
পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট যে কোন বস্তু আটক করিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট কোন
ব্যক্তি বা অপরাধীকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তল্লাশী, ইত্যাদির পদ্ধতি |
|
৮১৷ এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের
অধীন জারীকৃত সকল তদন্ত, পরোয়ানা, তল্লাশী, গ্রেফতার ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারী
কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন |
|
৮২৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,
এক বা একাধিক সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল, অতঃপর সময় সময় আপীল ট্রাইব্যুনাল
বলিয়া উল্লিখিত, গঠন করিতে পারিবে৷
(২) সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
(৩) চেয়ারম্যান এমন একজন ব্যক্তি হইবেন যিনি সুপ্রীমকোর্টের বিচারক ছিলেন
বা আছেন বা অনুরূপ বিচারক হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য এবং সদস্যগণের মধ্যে
একজন হইবেন বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত একজন কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ
এবং অন্য জন হইবেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে নির্ধারিত জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি৷
(৪) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নিয়োগের
তারিখ হইতে অন্যুন তিন বত্সর এবং অনধিক পাঁচ বত্সর পদে বহাল থাকিবেন এবং
তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার ও পদ্ধতি |
|
৮৩৷ (১) সাইবার ট্রাইব্যুনাল এবং, ক্ষেতমত,
দায়রা আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে আপীল শ্রবণ ও নিষ্পত্তি
করিবার এখতিয়ার আপীল ট্রাইব্যুনালের থাকিবে৷
(২) আপীল শ্রবণ ও
নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল বিধি দ্বারা নির্ধারিত
পদ্ধতি অনুসরণ করিবে এবং বিধি দ্বারা পদ্ধতি নির্ধারিত করা না হইলে
সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ফৌজদারী আপীল শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য
যেইরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া থাকে আপীল ট্রাইব্যুনাল সেইরূপ পদ্ধতি,
প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, অনুসরণ করিবে৷
(৩) সাইবার ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ বহাল, বাতিল, পরিবর্তন, বা সংশোধন করিবার ক্ষমতা আপীল ট্রাইব্যুনালের থাকিবে৷
(৪) আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হইবার ক্ষেত্রে আপীল পদ্ধতি |
|
৮৪৷ এই অংশের অধীন কোন সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল
গঠিত না হইয়া থাকিলে, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,
দায়রা আদালত কিংবা, তেগত্রমত, সাইবার ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায় ও
আদেশের বিরুদ্ধে আপীল সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করিতে হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
নবম অধ্যায় বিবিধ |
|
|
জনসেবক |
|
৮৫৷ নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক, সহকারী
নিয়ন্ত্রক, বা এই আইনের অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদনের জন্য
ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি দন্ডবিধির ধারা ২১ এর অর্থে জনসেবক বা Public
Servant বলিয়া গণ্য হইবেন৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সরল বিশ্বাসে কৃত কর্ম রক্ষণ |
|
৮৬৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের
অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা
হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক, সহকারী
নিয়ন্ত্রক বা তাহাদের পক্ষে কার্যরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে
কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ
করা যাইবে না৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কতিপয় আইনে ব্যবহৃত কতিপয় সংজ্ঞার বর্ধিত অর্থে প্রয়োগ |
|
৮৭৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-
(ক)
Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 29 এর "document" এর
সংজ্ঞায়িত অর্থে কোন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশল দ্বারা সৃষ্ট document ও
অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) এর
section 3 এর "document" শব্দের সংজ্ঞায়িত অর্থে কোন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা
কৌশল দ্বারা সৃষ্ট document ও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(গ) Banker's
Books Evidence Act, 1891 (Act No. XVIII of 1891) এর section 2 এর Clause
(3) এর "bankers books" এর সংজ্ঞায়িত অর্থে কোন ব্যাংকের স্বাভাবিক
ব্যবসায়ে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বা কৌশল দ্বারা সৃষ্ট ও ব্যবহৃত ledgers,
day-books, cash-books, account-books and all other books ও অন্তর্ভুক্ত
হইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা |
|
৮৮৷ সরকার, সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত
ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য
পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে,
যথাঃ-
(ক) কোন তথ্য বা বিষয় সত্যায়িত করিবার বা ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর দ্বারা কোন দলিল স্বাক্ষর করিবার পদ্ধতি;
(খ) ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে জমা, জারী, মঞ্জুরী বা টাকা প্রদান পদ্ধতি;
(গ) ইলেক্ট্রনিক রের্কড জমা বা জারী করিবার এবং টাকা প্রদান করিবার পদ্ধতি ও নিয়ম;
(ঘ) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষরের ধরন সম্পর্কিত বিষয়াদি নির্ধারণসহ, উহা সংযুক্ত করিবার পদ্ধতি এবং ছক;
(ঙ) নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক, সহকারী নিয়ন্ত্রক নিয়োগের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং চাকুরীর শর্তাবলী;
(চ) নিয়ন্ত্রক কর্তৃক পালনীয় অন্যান্য মানদন্ড;
(ছ) কোন আবেদনকারী কর্তৃক অবশ্য পালনীয় নিয়মাবলী;
(জ) লাইসেন্সের মেয়াদ;
(ঝ) আবেদনপত্র দাখিলের ছক;
(ঞ) লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদনপত্রের সহিত প্রদেয় ফিস;
(ট) লাইসেন্স আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিতব্য অন্যান্য দলিল;
(ঠ) লাইসেন্স নবায়নের আবেদনপত্রের ছক এবং তজ্জন্য প্রদেয় ফিস;
(ড) ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনপত্রের ছক ও উহার প্রদেয় ফিস;
(ঢ) সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা;
(ণ) আপীল দায়েরের পদ্ধতি;
(ত) তদন্ত পরিচালনা পদ্ধতি;
(থ) প্রয়োজনীয় এমন অন্যান্য বিষয় ৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা |
|
৮৯৷ নিয়ন্ত্রক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং
সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেক্ট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন
দ্বারা, প্রয়োজনীয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়সহ নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন
বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের ডিসক্লোজার রেকর্ড সম্বলিত উপাত্ত-ভান্ডার সম্পর্কিত তথ্যাদির বিবরণ;
(খ) নিয়ন্ত্রক কর্তৃক বিদেশী সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি প্রদানের শর্তাবলী ও বাধা-নিষেধ;
(গ) লাইসেন্স মঞ্জুর করিবার শর্তাবলী;
(ঘ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুসরণীয় অন্যান্য মানদন্ড;
(ঙ) সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বিষয়ের প্রকাশনার পদ্ধতি; এবং
(চ) আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিতব্য বিবরণাদি৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মূল পাঠ ও ইংরেজীতে পাঠ |
|
৯০৷ এই আইনের মূল পাঠ বাংলাতে হইবে এবং ইংরেজীতে অনূদিত উহার একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ থাকিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
১ উপান্তটীকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৪১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
২ উপ-ধারা (১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৪১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৩
“অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলি "অনধিক দশ
বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৪
“অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলি "অনধিক দশ
বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৫
“অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলি "অনধিক দশ
বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৬
“অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলি "অনধিক দশ
বৎসর কারাদণ্ডে” শব্দগুলির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৭
“অথবা” শব্দটি "এবং” শব্দটির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৮
“অথবা” শব্দটি "এবং” শব্দটির পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন)
আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
৯ উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৮(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
১০ উপ-ধারা (২) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
১১
“প্রকাশ্য স্থান, ইত্যাদিতে” শব্দগুলি ও কমা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি
(সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৯(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।
১২ “প্রকাশ্য” শব্দটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪২ নং আইন) এর ৯(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
|
|